গত ৩-৪ জুন ২০১৭ রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের হলরুমে সম্প্রসারিত তুলা চাষ প্রকল্প (ফেজ-১) আয়োজনে “বরেন্দ্র অঞ্চলে তুলা চাষের সম্ভবনা” বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ফরিদ উদ্দিন। আর অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম এবং কৃষিবিদ মো. আখতারুজ্জামান, অতিরিক্ত পরিচালক, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সারা বিশ্বে তুলা একটি অতি গুরুত্বর্পূণ আঁশ জাতীয় ফসল। তুলার আঁশ বস্ত্রকলগুলোতে সুতা তৈরির প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তুলা বীজ হতে তেল ও খৈল পাওয়া যায়। তুলাবীজ থেকে প্রাপ্ত পরিশোধিত তেল ভোজ্যতেল ও অপরিশোধিত তেল সাবান তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তুলা বীজের খৈল গবাদিপশু ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তুলার সাথে সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন শাকসবজি যেমন- লালশাক, ডাঁটাশাক, মুলাশাক, বরবটি, মুলা, শসা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ধনেপাতা ইত্যাদি চাষ করা হচ্ছে। রিলে ক্রপ হিসেবে আদা, হলুদ, মরিচ, পটল, আখ ইত্যাদি ফসলের সাথে তুলা চাষ করা যায়। বিভিন্ন ফল বাগান যেমন- কলা, পেঁপে, আনারস, আম বাগানে প্রতি বছর আন্তঃফসল হিসেবে তুলা চাষ করা হয়। এ ছাড়া মুগডাল, ভুট্টা, আলু, গম ও উচ্চ মূল্যের শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করে শস্যবিন্যাস প্রবর্তন করা হচ্ছে।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, কৃষক ও কৃষিবিভাগের কর্মীদের আন্তরিকতার কারণে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ধরে রাখতে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়ার ওপর জোর প্রদান করেন। এছাড়া তিনি তুলা একটি পরিবেশ বান্ধব ফসল হওয়ায় এটি সম্প্রসারণের জন্য তুলা বিভাগের কর্মীদের আরোও নতুন নতুন এলাকা সম্প্রসারণের জন্য আহ্বান জানান।